মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহতের ঘটনায় প্রধান আসামি বাসচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় গত এপ্রিল মাসে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামি রিলাক্স পরিবহনের বাসচালক মো. সোহেল তালুকদারকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার আনসার ক্যাম্প এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহেল ঢাকার দক্ষিণখাঁনের ফরহাদাবাদ এলাকার বাসিন্দা এবং মো. হানিফের ছেলে।
ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনা
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ১ এপ্রিল ঢাকার মিরপুর থেকে কক্সবাজার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে একটি মাইক্রোবাসযোগে রওনা দেন রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরদিন ২ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা রিলাক্স পরিবহনের একটি দ্রুতগতির বাস মাইক্রোবাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই রফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী, দুটি শিশু সন্তানসহ ১০ জন নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। নিহতদের অধিকাংশই একই পরিবারের সদস্য ছিলেন।
মামলা ও গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের শ্যালক মো. রবিউল হাসান সুজন বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি বাসচালক সোহেল ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান।
র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য মিরপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামি বাসচালক গ্রেপ্তার
র্যাবের বক্তব্য
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ আর এম মোজাফফর হোসেন জানান, “দুর্ঘটনার পর চালক সোহেল আত্মগোপনে চলে যান। তাকে খুঁজে বের করতে আমাদের একটি টিম গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘদিন কাজ করেছে। অবশেষে মিরপুরে অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।”
এই ঘটনা নতুন করে দেশের সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। নিহত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষ