বিবাহিত ছেলের প্রেম ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন, ‘বিমানে বোমা’
ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা রয়েছে— এমন ভুয়া তথ্য দিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তবে তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য: বিবাহিত ছেলে যেন প্রেমিকাকে নিয়ে নেপাল যেতে না পারে, সেজন্য মায়ের নেতৃত্বেই ছড়ানো হয় এই মিথ্যা খবর।শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান। তিনি জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন—যুবক ইমন, তার মা এবং বন্ধু ইমরান।গতকাল বিকেলে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিজি-৩৭৩ ফ্লাইটটি রানওয়ে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একটি অচেনা নম্বর থেকে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করে জানানো হয়, উড়োজাহাজটিতে বোমা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইটটি থামিয়ে দেওয়া হয়।ফ্লাইটটিতে তখন ১৪২ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স, এভসেক, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, এপিবিএনের ডগ স্কোয়াড এবং র্যাবের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তিন ঘণ্টাব্যাপী তল্লাশির পর রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে নিশ্চিত করা হয়—বিমানটিতে কোনো বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি।পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, ইমন নামের ওই যুবক তার প্রেমিকাকে নিয়ে কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানার পর তার স্ত্রী ও মা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ছেলের যাত্রা ঠেকাতে তারা নানা প্রচেষ্টা চালান। একপর্যায়ে ইমনের বন্ধু ইমরান পরামর্শ দেয়, বিমানবন্দরে ফোন দিয়ে বলা হলে যে বিমানে বোমা আছে, তাহলে ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইমনের মা নিজেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করে বোমা থাকার মিথ্যা তথ্য দেন।র্যাব মহাপরিচালক বলেন, এটি একটি গর্হিত অপরাধ এবং দেশের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিমানবন্দরের মতো স্পর্শকাতর স্থানে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা এবং জাতীয় এয়ারলাইন্সের সুনাম ক্ষুণ্ন করা গুরুতর অপরাধ।তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে কেউ যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটায়, সেজন্য দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে,