চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর মেরে হত্যা: স্বজনদের কান্নায় ভেঙে পড়া পরিবার
“আমরা এতিম হয়ে গেছি, এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াব? বাবাকে যারা হত্যা করেছে, আমরা তাদের বিচার চাই।” — কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন নিহত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা।চাঁদা না দেওয়ায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৪০)। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ নিজ জেলা বরগুনায় পৌঁছালে স্বজনদের আহাজারিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়**বজ্রপাতে বাবাহারা, এবার সন্ত্রাসে স্বামীহারা পরিবার**নিহত সোহাগের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। মাত্র সাত মাস বয়সে বজ্রপাতে বাবাকে হারান সোহাগ। এরপর মা আলেয়া বেগম তাকে ও দুই বোনকে নিয়ে জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় চলে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে সোহাগ ঢাকার মিটফোর্ডে ‘মেসার্স সোহানা মেটাল’ নামে একটি দোকান পরিচালনা করছিলেন।সোহাগের স্ত্রী লাকি বেগম জানান, “আমার স্বামীর ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্রের টার্গেটে ছিল। প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করত তারা। আমার স্বামী রাজি না হওয়ায় তারা তাকে হত্যা করেছে। ওরা ব্যবসাটাও দখল করতে চেয়েছিল।”### **চাঁদা না দিলে পাথর মেরে হত্যা!**স্বজনদের অভিযোগ, চাঁদা না দেওয়ায় কয়েক দফায় হুমকি ও দোকান বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। শেষ পর্যন্ত বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সোহাগকে আটকে রেখে চাঁদার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে পাথর মেরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।সোহাগের বোন ফাতেমা বেগম বলেন, “আমার ভাই ব্যবসা করে খাচ্ছিল। ওর রোজগারে আমরা বেঁচে ছিলাম। ওরা শুধু ভাইকে মারেনি, আমাদের জীবনকেও শেষ করে দিয়েছে।”### **বিচার চায় পরিবার**সোহাগের পরিবার ও এলাকাবাসী হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।—আপনি চাইলে এই রিপোর্টে ছবি, হেডলাইন ডিজাইন বা আরও গভীর তথ্য যুক্ত করতে পারি (যেমন: পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য)। আপডেট করতে বললেই করব।